কিন্তু ৩০ বছর পরে জানা গেলো এটি পারিবারিক বিরোধের জেরে হত্যা।
বলা হচ্ছিলো ছিনতাইকারীর হাতে খুন। কিন্তু ৩০ বছর পরে জানা গেলো এটি পারিবারিক বিরোধের জেরে হত্যা। রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে মেয়েকে আনতে গিয়ে খুন হয়েছিলেন সাগিরা মোর্শেদ। তিন দশক পরে পিবিআইয়ের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে আসল রহস্য। গ্রেপ্তার ৪ জন আদালতে স্বীকারোক্তিও দিয়েছেন। বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান, পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদার। চ্যানেল টোয়েন্টিফোরে প্রতিবেদন প্রচারের পরই বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে।
১৯ জুন চ্যানেল 24 কে সাগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডাক্তার হাসান আলী জানান, ১৯৮৯ সালের ঘটনা খুব একটা মনে করতে পারছেন না। ১৪ নভেম্বর ২০১৯ পিবিআই এক সংবাদ সম্মেলনে জানালো ভিকারুননেসা নূন স্কুলের সামনে ৩০ বছর আগে ঘটে যাওয়া আসামিদের একজন ডাক্তার হাসান আলী
১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই। রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে ভিকারুননেসা স্কুলে মেয়েকে আনতে গিয়ে খুন হন সাগিরা মোর্শেদ। সেদিন রাতেই রমনা থানায় হত্যা মামলা করেন তার স্বামী সালাম চৌধুরী। এতদিন বলা হচ্ছিলো ছিনতাইকারীর হাতে খুন হয়েছেন সাগিরা। কিন্তু গত ২০ জুন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের অনুষ্ঠান আপনার আদালতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়, যা পরে হাইকোর্টের নজরে আনেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু
সে সুত্র এবার পাল্টে গেলো পুরো ঘটনা, পিবিআই প্রধান জানালেন পুরো ঘটনা একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
এক সময় বিচারের আশা ছেড়ে দেয়া সালাম চৌধুরী জানালেন, এখন আশা করছেন দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।
গত ১৭-ই জুলাই দায়িত্ব দেয়া হয় পিবিআইকে। ৯০দিনের মধ্যে তদন্ত ও বিচার কাজ শেষ করারও নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এরইমধ্যে মামলার বাদি অর্থাৎ সাগিরার ভাশুর হাসান আলী ও তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা শাহিনসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১২ নভেম্বর তারা হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। মুলত পারিবারিক বিরোধের জেরে সাগিরাকে হত্যা করা হয় বলেও উঠে আসে পিবিআইয়ের তদন্তে।
আসামিদের ভাষ্য মতে, সাগিরাকে খুন নয়, বরং ভয় দেখাতে মাস্তান ভাড়া করা হয়েছিল। তবে পুরো বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয় বলে জানিয়েছে পিআইবি। তিন দশক পরে ঘটনাটি সামনে নিয়ে আসায় চ্যানেল টোয়েন্টিফোরকে, আর রহস্য উদ্ঘাটন করায় পিবিআইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন উচ্চআদালত।