Sobujbangla.com | নাগিরকত্ব সংশোধন বিল নিয়ে উত্তপ্ত ভারতের লোকসভা; তুমুল বিরোধিতা বিরোধীদের
News Head

নাগিরকত্ব সংশোধন বিল নিয়ে উত্তপ্ত ভারতের লোকসভা; তুমুল বিরোধিতা বিরোধীদের

  |  ১৭:২৯, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৯

অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানে আলোচিত সংশোধন বিল নিয়ে নজিরবিহীন হট্টগোল হয়েছে ভারতের লোকসভায়। বিরোধীদের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে সংখ্যালঘু মুসলিমদের টার্গেট করা হয়েছে এ বিলে। এটি কার্যকর হলে অমিত শাহকে বিশ্ববাসী হিটলারের সঙ্গে তুলনা করবে বলে মন্তব্য করেছেন মুসলিম নেতা ওয়াইসি।
৬ দশক আগের পুরনো আইন বদলে, ভারতের লোকসভায় উঠলো নাগরিকত্ব সংশোধন বিল। লক্ষ্য বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে বসবাসরত অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেয়া। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিল উত্থাপনের শুরুর পরই তীব্র হট্টগোল শুরু হয় পার্লামেন্টে। বিরোধীতায় সরব হয় কংগ্রেস, তৃণমূলসহ বিরোধীরা।
কংগ্রেস নেতা শশী থারুর বলছেন, ভারতের মূল্যবোধের পরিপন্থী এ আইন। আদর্শ, ধর্ম কিংবা ভাষার কখনও জাতীয়তার ভিত্তি হতে পারে না। এটা পাকিস্তানি চিন্তাধারা।
এআইএমআইএমের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেন, ‘মাননীয় স্পিকার, এ আইনের হাত থেকে দেশ ও দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে রক্ষা করুন। নইলে ডেভিড বেন গুরিয়ন ও হিটলারের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম উচ্চারিত হবে।
বিরোধীদের অভিযোগের পাল্টা উত্তর দেন বিজেপি প্রধান অমিত শাহ। বলেন, মুসলিমদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেয়ার দাবি সর্বতই ভুল। ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব বিলে সংশোধনী করা হয়নি। স্বাধীনতার পর কংগ্রেস যদি ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ না করত, তবে এ বিলের প্রয়োজন পড়ত না।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ার করেছেন, তার রাজ্যে নাগরিত্ব বিল কিংবা এনআরসি কোনোটাই হতে দেয়া হবে না। বিল প্রত্যাখান করেছেন মুসলিম নেতারাও।
এআইইউডিএফ প্রধান বদরুদ্দিন আজমল বলেন, ‘এই বিল সংবিধান পরিপন্থী এবং হিন্দু মুসলমানের মধ্যে বিভাজন উসকে দেবে। এটি প্রত্যাখান করছি।’
এর আগে গেলো বুধবার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের পক্ষে মত দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। ১৯৫৫ সালের আইনে ১১ বছর বাস করলেই, তিনি নাগরিকত্ব দাবি করতে পারেন। নতুন আইনে এ বিধান অমুসলিমদের জন্য ৫ বছর করা হয়েছে।
বিলের প্রতিবাদে উত্তাল উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলি। বিভিন্ন এলাকায় বনধের ডাক দিয়েছে ৪টি সংগঠন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ