Sobujbangla.com | লেকহেড গ্রামার স্কুলের পরিচালনা পর্ষদ ঢেলে সাজানোর নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। সাত দিনের মধ্যে একজন সেনা কর্মকর্তাকে অধ্যক্ষ করে সাত সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ গঠনে শিক্ষামন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন, সর্বোচ্চ আদালত।
News Head

লেকহেড গ্রামার স্কুলের পরিচালনা পর্ষদ ঢেলে সাজানোর নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। সাত দিনের মধ্যে একজন সেনা কর্মকর্তাকে অধ্যক্ষ করে সাত সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ গঠনে শিক্ষামন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন, সর্বোচ্চ আদালত।

  |  ১৪:৪১, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৭

জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বন্ধ করে দেয়া রাজধানীর লেকহেড গ্রামার স্কুলের পরিচালনা পর্ষদ ঢেলে সাজানোর নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। সাত দিনের মধ্যে একজন সেনা কর্মকর্তাকে অধ্যক্ষ করে সাত সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ গঠনে শিক্ষামন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন, সর্বোচ্চ আদালত।

অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, স্কুলটির বিরুদ্ধে ভয়াবহ জঙ্গি মদদের অভিযোগ রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের এ আদেশে স্কুলটিতে জঙ্গি কার্যক্রম রোধ করা যাবে।

মিরপুর রুপনগরে জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযানে মারা যাওয়া অবসরপ্রাপ্ত মেজর জাহিদ ছিলেন লেকহেড গ্রামার স্কুলের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা।এরপরই স্কুলটির বিষয়ে তদন্তে নামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

তদন্তে লেকহেডের সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন কর্মকর্তার জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠে আসলে গত ৬ নভেম্বর স্কুলটির গুলশান ও ধানমন্ডি শাখা বন্ধ করে দেয় সরকার। সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। হাইকোর্ট প্রথমে স্কুলটি খুলে দিতে বললেও আপিল বিভাগ তাতে সায় দেয়নি।

স্কুলটি নিয়ে দুই দফা গোয়েন্দাসংস্থার গোপনীয় প্রতিবেদনও দাখিল করে, রাষ্ট্রপক্ষ। প্রতিবেদনে জঙ্গিসংশ্লিষ্টার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।এমন প্রেক্ষাপটে, আগামী সাতদিনের মধ্যে স্কুলটির পরিচালনা পর্ষদ ঢেলে সাজানোর নির্দেশ দিলো আপিল বিভাগ।

লেকহেড গ্রামার স্কুলের আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ বলেন, ‘সাতদিনের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি ম্যানেজিং কমিটি স্কুল পরিচালনা করার জন্য গঠন করা হবে। এবং সেই ম্যানেজিং কমিটির প্রধান হবে ডিভিশনাল কমিশনার। ওই কমিটির মধ্যে এডুকেশন কোরের আর্মি পার্সোনেল থাকবেন। সাতদিনের মধ্যেই আমরা আশা করি যে স্কুলটা আবার নতুন করে খুলে পরিচালিত হবে।’

অপর আইনজীবী রাশনা ইমাম, ‘ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন যে একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গিয়েছিলো, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অবৈধ আদেশের কারণে, সেটার আজ ফাইনালি অবসান ঘটেছে।’

অ্যাটর্নি জেনারেলের দাবি, লেকহেডের বিরুদ্ধে ভয়াবহ গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। তিনি জানান, এ স্কুলের সঙ্গে জড়িত অনেকেই সিরিয়া যুদ্ধ করতে গেছেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘এটা যদি সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনা না হয়, তাহলে এটা খুবই খারাপ দিকে যাওয়ার আশঙ্কা ছিলো। স্কুলের সঙ্গে জড়িত যারা ছিলেন, তারা অনেকেই সিরিয়ায় যুদ্ধ করতে গেছেন আইএস-এর সদস্য হিসেবে। মিরপুরে একজন প্রাক্তন মেজর মারা গেছেন এই জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার দায়ে।’

লেকহেড স্কুলের গুলশান ও ধানমন্ডি শাখায় ১১শ শিক্ষার্থী রয়েছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ