Sobujbangla.com | নির্বাচন করবে ঐক্যফ্রন্ট, তবে ভোট পেছানোর দাবি।
News Head

নির্বাচন করবে ঐক্যফ্রন্ট, তবে ভোট পেছানোর দাবি।

  |  ১৯:১৮, নভেম্বর ১১, ২০১৮

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন সংবাদ সম্মেলন করে এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেন। এ সময় তাঁর পাশে ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবির পাশাপাশি নির্বাচনের তারিখ এক মাস পিছিয়ে পুনরায় তফসিল ঘোষণার দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
লিখিত বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য আমরা যে সাত দফা দাবি দিয়েছি, তা থেকে একচুলও সরে আসছি না। সাত দফার সঙ্গে আমাদের একটি নতুন দাবি যুক্ত হয়েছে, সেটি হচ্ছে নির্বাচনের তফসিল বাতিল করে নির্বাচনের তারিখ এক মাস পিছিয়ে নতুন করে তফসিল ঘোষণা।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কোন প্রতীকে নির্বাচন করবে—জানতে চাওয়া হলে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‌‘পরে একসঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের অত্যাবশ্যকীয় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড পূরণ হয়নি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরও সরকারি প্রচার-প্রচারণা একতরফাভাবে চালানো হচ্ছে। এটা নির্বাচনী আচরণবিধির স্পষ্ট লঙ্ঘন। এ রকম পরিস্থিতিতে অংশগ্রহণমূলক, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রায় অসম্ভব ব্যাপার।
ড. কামাল বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই কঠিন। কিন্তু এ রকম একটি ভীষণ ভীষণ প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের অংশ হিসেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেন ছাড়াও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রধান বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির তথাকথিত নির্বাচনে মানুষের ন্যূনতম গণতান্ত্রিক অধিকার ও স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়ার অধিকার হরণ করা হয়েছিল।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ